শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০০৯

লিখতে লিখতে লেখা

লিখতে লিখতে লেখা যখন একদম থেমে যায়, আলস্য ভর করে আসে মনে, গণ্য কবির বই হাতে নিয়ে বিছানায় গড়াগড়ি যেতে যেতে ভাবি-- এরকমই যদি হবে দৌড়ঝাঁপ, তবে আর বেড়ায় গোঁজা ছেনি হাতে নিয়ে মূলা ক্ষেতে চলে যেতে ভয় পাচ্ছি কেন, ভোরবেলা মাটি ভেজা থাকতে থাকতে যেসব দোয়েল পাখি কেঁচো খুঁজতে নেমে আসে পাশেই মরিচ ক্ষেতে, তাদের সাথে ভালোমন্দ দু-চার কথা হলেটলে লিখে ফেলতে পারি নির্দ্বিধায়, কবিতা পাঠকের গোপন পক্ষীপ্রীতি সাধারণ্যে জ্ঞাত, যদি কুদুলে কাউকে পেয়ে যাই ওইখানে মুফতে মোড়লবাড়ির, বিড়ি টানতে টানতে বাতরে বসে ওর সংসারের হালহকিকতও কিছু রিলে করতে পারি-- পুকুরে পড়ে ওর যে মেয়েটা মারা গেছে গতবার, তার পরে ওদের আর কাচ্চাবাচ্চা হলো কি না কোনো, ভূতেরবাড়ি বলে খ্যাত ওই উঠোনে ওদের যে গাবগাছ ছিল, এতদিনও বেঁচেবর্তে আছে কি না, কবিতা পাঠকের এসবেও বড়ো বেশি অনাগ্রহ আছে বলে জানা নেই

অথচ লিখতে লিখতে লেখা যখন একদম থেমে যায়, কাগজ-কলমকে ঢাল-তলোয়ার ভেবে আমি যথেচ্ছ রাজা-উজির মারি, মারতেই থাকি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন