লিখতে বসে অনুভব করি জানলাপথে বাতাস বয়ে আনছে পাণিনির অষ্টাধ্যায়ী ব্যাকরণের বিচ্ছিন্ন পাতা, সাথে হেমশব্দানুশাসন, বোপদেবের মুগ্ধবোধ, চান্দ্র ব্যাকরণ... এমন ব্যাকরণপ্রবাহে ভেসে যেতে যেতেও আজকাল মূকতাই শ্রেয়জ্ঞান করি, শুদ্ধ শব্দ-বাক্য আশা করলে একদল লেখক কেবল মারতে আসা বাকি রাখে, বলে যে পশ্চাৎপদ, এই ভয়ে আজকাল একটুও না-পড়ে ছিন্ন পাতা, ধরে ধরে ভাঁজ করে ১৮ খণ্ড ‘রবীন্দ্র-রচনাবলী’র পাশে রেখে দেই, ঐতিহ্য সংস্করণ তাতে মোট ১৯ খণ্ড বলে ভ্রম হয়
এহেন বেহাল দশাকে ঠিক আমলে না-নিয়ে স্ত্রী এসে জিজ্ঞেস করে, রেফের ক্ষেত্রে দ্বিত্ব পরিহার কেন জরুরি মানব যদি ‘ধর্ম্ম’কে ‘ধর্ম’ লিখলে মানেই বদলে যায়, ছেলে বলে কোনটা বলব বাবা, কাউয়া না কাক, অনেক কথাই বলার থাকে, বলতে পারি না
বাংলা ভাষার প্রাণভোমরার খোঁজকারী কলিম খান এসব নিয়ে বলেছেন বিস্তর কথা, তাই চুপচাপ বাড়িয়ে দেই শুধু প্যাপিরাসের পরমাভাষার সংকেত, ভুলভালে ভরা, এবার দেখি বাতাস আরো বাড়ে
শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০০৯
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন