শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০০৯

যাপনবিদ্যা

যৌবনবাদ্য থেমে যাবার আতঙ্ক গভীর হয়ে এলে রুটির দিক থেকে মুখ সরিয়ে নিয়ে রাখো ঘাসে বসে ঝিমানো নিসর্গের প্রচ্ছদে, টানো গভীর নিঃশ্বাস, ফড়িঙের ওড়াওড়ি তাতে বাড়ে, বৃষ্টি নামে ঝমঝমিয়ে আকাশের ছাদ ভেঙে, এর যে নিজস্ব তৌর্যত্রিকতা সেটা কানে নিয়ে প্রৌঢ়ত্বের পরিধির ভিতরে নির্মিত প্রফুল্ল গৃহে করে যাও যথেচ্ছ যাপন

এটা হবে ক্রমশ পচে ঘিনঘিনিয়ে ওঠা সমাজদেহ থেকে সুদূরে স্থাপিত, রাষ্ট্রদেহের জঙ্ঘার নিচে গজানো এইসব যাপনবিদ্যার দিকে কালা সব কানুনেরা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে যাবে, রাষ্ট্রের সামর্থ্য নেই যে মনের পায়ে শিকল পরাবে মানুষের, কিংবা গাধায় চড়িয়ে দেবে পার করে আচার সীমানা, রাষ্ট্রের চোখ বড়ো স্থূল, ওটা যা দেখে তা দেখে কানারাও, যা দেখার তা দেখে না কস্মিনকালে

ভিতর দিক থেকে একটা একটা করে খড়কুটা নামিয়ে এনে গড়ে তোলা ওই পাখিনীড় পাতার পৌরহিত্যে দেখবে মানিয়ে যাচ্ছে বেশ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন