শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০০৯

নিরাপদ, যৌনতাপ্রুফ

কবিতা লিখতে লিখতে প্যাচপেচে কাদা ও মার্সগ্যাসযুক্ত জলাজংলা পেরিয়ে গিরগিটির সামনে পড়েও তেমন অস্বস্তি হয় নি, ভরদুপুরে যেদিন ‘যৌনতা’ বিশেষ্যের সামনে গিয়ে পড়লাম, চিনতে শিখলাম ওর ক্রিয়াভিত্তি, সেদিনই উঠল গা-টা কাঁটা দিয়ে, লজ্জায় এমন জবুথবু অবস্থা হলো যে স্কুল-মিস্ট্রেসের চোখের দিকেও তাকানো গেল না

সেসব দিনে আপনজন থেকে পালিয়ে আমার নিগূঢ় ভূতের সাথে লড়ে যেতে হতো নিশিদিন, সবাই শুধু জানত যে আমি বদলে যাচ্ছি, বদলটা ঘটছে ঠিক শরীরে কোথায়, সদাউড্ডীন লালেহলুদ প্রজাপতি ছাড়া আর জানত না কেউই, বোধটি তখন থেকে নাছোড় ছায়ার মতো লেড়েল্যাপ্টে যায়, একত্রে স্নানাহার করে, ঘুমাতে যায়, পড়ার সময় বইয়ে খুঁজে জ্ঞাতিশব্দ যত, আর সুন্দরী দেখলেই দৃষ্টির চোরাগোপ্তা হামলা চালায়

প্রায় স্বাভাবিক হয়ে এলে সম্পর্ক ওই শব্দের সাথে, একদিন খুব স্যাঁতসেঁতে অনুভূতি হলো, বিরক্তি ও আনন্দ মিশ্রিত ওই যৌগানুভূতি সামলাতে না-পরে রাগেদুঃখে কবিতার খাতা থেকে নামিয়ে শব্দটাকে এমনই আছাড় দিলাম যে লাখ লাখ রঙিন প্রজাপতি হয়ে যৌনতাগুঁড়োগুলো উড়তে থাকল একা থাকা সব টিনেজের পাশে

তারপর থেকে, হে হে, আমার কবিতা খুবই নিরাপদ, যৌনতাপ্রুফ

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন