শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০০৯

ইতিহাসপাঠ

প্রচল ইতিহাসের একটা ডিসক্রেডিট হলো এই যে, ওতে প্রায়ই অলংকারের বাড়বাড়ন্ত থাকে, যেমন অতিশয়োক্তি, ইতিহাসবিদেরা ইতিহাস রেখে কাব্যে নিমগ্ন হলে, কল্পনাপ্রতিভার নবতর উন্মোচনে কাব্যের সংকট কিছুটা ঘুচত, বলা যায়

আমাদের ইতিহাস বইগুলো উপুড় করলে তা থেকে পড়তে থাকে রাশি রাশি বানানো হাত-পা, বানোয়াট মহিমা ও গৌরব, এই ধারণা আমি যেদিন লাভ করি সেটি ছিল ইতিহাসের আওতার বাইরের একটি অনৈতিহাসিক দিন, দুহাতে চোখের ওপর ধরে শুয়ে আমি পড়ছিলাম সমাজেতিহাস, সহসাই টের পাই চুঁইয়ে পড়া বহুকালের ভেজাল তথ্যপাতির গন্ধে আমার দমবন্ধপ্রায়, লাগাতার গোঁ গোঁ আওয়াজ শুনে পাশের ঘর থেকে নায়কোচিত লম্ফনশৈলী দিয়ে এসে খপ করে বই কেড়ে নিয়ে বউই সে যাত্রা আমায় প্রাণে রক্ষা করে, ওইদিন মনে হয়েছিল, সম্ভবত আমি নতুন একটা চোখ পেতে যাচ্ছি ঐতিহাসিক অন্ধকারে

কার্যকারণ সহযোগে মানুষের পরম্পরা ধরে পিছন দিকে চিন্তাকে চালিত করা গেলে ইতিহাস নামধারী গ্রন্থকে সন্দেহ করা লাগে, এরা কেননা শুধু একপক্ষ দেখে, এ যাত্রা হতে পারে মানুষের বলিরেখা, চিত্রকর্মের রঙ, চলচ্চিত্রের আলো ও সাহিত্যের রঙবেরঙের রহস্যময়তা সহযোগে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন